উমে জড়ানো লেপটা গা থেকে ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে না তমার | তার উপর রুপম তাকে জরিয়া ধরেছে | তবুও তাকে উঠতে হবে নইলে তার মা সন্দেহ করবে | রুপমকে ডাক দিল সে | রুপম বিরক্ত হয়ে বলল "তোমার মা যদি আমাদের একসাথে থাকতে নাই দিবে তবে আমাদের বিয়ে দিল কেন? " তমা তাকে বলল "এইত আর কযেকদিন বাকি তারপর আমার কলেজ শেষ , তারপর যত খুশী শুয়ে থেক | এখন পালাও নাহলে মা আমার বারোটা বাজাবে |" রুপম উঠতে উঠতে বলল "বিয়ের আগে আমি বলেসিলাম আমি পালাব না |তারপর কেও বিশ্বাস করেনি | এখন পালে বৌএর সাথে দেখা করতে হয় |ফুহ ! " রুপম গজগজ করতে করতে চলে গেল |ছোটবেলা থেকে তমার দরজা লাগিয়ে একা ঘুমানো অভ্যাস |তাই রাতে রুপম এলে মা বুঝতে পারে না |নাহলে................... তমার মা মিসেস ফারাহ মেয়ের বিয়ে দিতে চাননি কিন্তু ওই সময় তিনি নিরুপায় ছিলেন | তার স্বামী ওই সময় মৃত্যুসজ্জায় তার ইচ্ছা মেয়ের বিয়ে দেখে যাবেন | নইলে একমাত্র আদরের মেয়ের এই বয়সে বিয়ে ! তমা রূপমের চলে যাওয়া পথের দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল | রুপম প্রতিদিন আসে না | হয়ত মাসে দুইএকবার | "তমা উঠ বেলা হয়ে গেল " মার ডাকে সে সারা দিল |কিন্তু বের হলো না | অনেকক্ষণ পরে সে একটা জামা গায়ে দিয়ে বের হলো | "কি করছিলি ? " "ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করছিল না " "তোর সামনে পরীক্ষা আর তুই ঘুমাচ্ছিস ?" "মা পরীক্ষা না দিলে হয় না ? আমি তো আর ভার্সিটিতে যাচ্ছি না |" এ কথা শুনে মা রাগ করলেন বিরক্ত হয়ে বললেন "আমি এ নিয়ে কথা বলতে চাই না " মার চিল্লাচিল্লি শুনতে শুনতে তমা বাথরুমে গেল | বাথরুম থেকে বের হয়ে সে ঘড়ি দেখল | কেবল দশটা বাজে | শীতের সকালে সূর্য উঠতে দেরী হয় | সে রেডি হলো |তাকে যেতে হবে কলেজে | সেখানে মডেল টেস্ট হচ্ছে | মডেল টেস্ট দিতে সে যায় না সে যায় তার বান্ধবীদের সাথে কিছু সময় কাটানোর জন্য batminton খেলার জন্য | তমা কলেজে ঢুকলো পরীক্ষা দিল | এরপর তার bestfriend তিয়াশার সাথে batminton খেললো | খেলা শেষ হলে তিয়াশা বলল "কি রে পরীক্ষা কেমন হলো ?" " কিছু না লিখলে ভালো হবে কেমন করে ?" তিয়াশা প্রসঙ্গটা ঘুরাতে চাইল বলল "মডেল টেস্ট সেস হলে আমি তোকে নিয়ে আইসক্রিম খেতে যাব |" "ধুর ফাজিল ! শীতকালে মানুষ আইসক্রিম খায় ?" "শীত ! তোর তো আবার ....." "কি ?" "বাদ দে ! যাই হোক দুলাভাই কেমন আছেন ?" "ভালো আছে ,আজ পালালো |" "আবার !" "হুমম |" তমা এই পর্যন্ত বলে থেমে গেল | শীতের সময় আগে কি মজাই না হত ! বাবা বেচে থাকতে সে এ সময় দাদু বাড়ি যেত |যতই পড়া থাকুক আর কি থাকুক | তিয়াশা ফেসবুকে বসেছে রূপমের সাথে চাট করছে | তিয়াশা অবাক হয় ভেবে তমা কেমন করে এমন লোক বেছে নিল ? লোকটা ভালো তো নয়ই তার উপর অনেক মিথ্যা বলে | সে জানে তমা রুপম কে পছন্দ করে কিন্তু রুপম তমাকে পছন্দ করে না | সে এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না | নিশ্চিন্ত মনে ভাপা পিঠা খায় আর চাট করে |আজ তার মডেল টেস্ট শেষ তাই আজ ছুটি নিয়েছে | সে কাল বাড়ি যাবে দুইদিন থাকবে ,পিঠা খাবে | তমা তিয়াশার লাইফস্টাইল পছন্দ করে\ আহ ! তার লাইফটা যদি এমন হত ! hsc পরীক্ষা শেষ |শীত শেষ হয় নি | তমা রুপমকে অনেকবার ফোন করলো কিন্তু সে ধরল না |ধরবে কেমন করে? সে যে শুয়ে আছে |অবশেষে ও পাশ থেকে একজন মেয়ে ফোন ধরল | গলা শুনে চনতে পারল |তিয়াশা বলল "এই তুই আমার বয় ফ্রেন্ডকে ফোন দিস না তো |" তমা কথাগুলো শুনে আর থাকতে পারেনি|
এক বছর পর
শীতের সকাল | তমা তিয়াশাকে ডাকছে "ওঠ ! ভার্সিটিতে ক্লাস আছে |" তিয়াশা ঘড়ি দেখল পাচটা বাজে বিরক্ত হয়ে উঠতে উঠতে বলল "সেদিন ফোন না ধরলেই ভালো হত তুই তাহলে এত সকালে ডাকতে পারতি না|" সেদিনের ঘটনার জন্য তিয়াশার কাছে সে ঋনী| তিয়াশা জানত রুপম নারী পাচারকারী |তাই তমাকে বাচানোর জন্য রূপমের সাথে বন্ধুত্ব করেছিল | তমা বলল "জানিস তো আমি তোকে প্রাতভ্রমন করতে ডাকি |" তমা আর তিয়াশা প্রাতভ্রমানে বের হয় |ভালো লাগে হিম হিম শীত |
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
প্রজাপতি মন
গল্প লেখার হাত খুব ভালো, শিক্ষণীয় গল্প। আসলে না জেনে না বুঝে কোন সম্পর্কেই জড়ানো ঠিক নয়, যেটা তমা করেছে। মায়ের আদেশ-নিষেধ মেনে চললে এই সমস্যায় পড়তে হতোনা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।